বিডি ল নিউজঃ বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৯ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
পুরান ঢাকার বকশীবাজার এলাকায় আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় রবিবার এ আদেশ দেন। এদিন সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
এর আগে সকালে হরতালে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। আবেদনের ওপর শুনানি করে দিন ধার্য্য করা হয়।
মামলার চার্জ গঠনের বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা হাইকোর্টে ৬ নভেম্বর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৯ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন খালেদা জিয়াকে আদালতে উপস্থিত হতে বলেছেন আদালত।
২২ সেপ্টেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার প্রথম সাক্ষী বাদী দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশিদের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর ২৬ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।রোববার সময় আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করে ৯ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলার অপর আসামির হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
অপরদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
Discussion about this post