গাজীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি টহল দলের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ছিনতাইকারী নিহত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে টঙ্গী ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় র্যাবের এক সদস্য গুলিবিদ্ধসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ র্যাব সদস্যকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, ৭টি মোবাইল, ২টি সুইছগিয়ার, ৬টি গ্যাস লাইট ও গুলির খোসা উদ্ধার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে টানাপার্টি, ছিনতাইকারী ও অস্ত্রের মুখে গাড়ি থামিয়ে নগদ টাকা-পয়সা লুট ও গাড়ি ডাকাতি চক্র সক্রিয় হয়েছে। এ জন্য নিরাপত্তায় র্যাব টহল জোরদার করেছে।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে আমাদের র্যাব-১ এর একটি টহল টিম টঙ্গী ব্রিজ এলাকায় নিয়োজিত ছিল। রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে টঙ্গী ব্রিজের ঠিক নিচে একটি প্রাইভেটকার থামিয়ে অস্ত্রের মুখে ডাকাতির চেষ্টা করে একদল ডাকাত। চিৎকার শুনে টহল টিম ধাওয়া করলে ডাকাতদল গুলি ছোড়ে। র্যাবও নিরাপত্তার স্বার্থে গুলি ছোড়ে।
এতে এক র্যাব সদস্যের (সৈনিক) বাম পায়ে গুলি ঢুকে বেড়িয়ে যায়। তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আরও দুই র্যাব সদস্যকে টঙ্গী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে র্যাবের টহল টিম পৌঁছার পর দুইজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে জানান তিনি।
র্যাব-১ সিও আরও বলেন, নিহত দুজন ডাকাতদলের সন্দেহভাজন সদস্য। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, সাতটি মোবাইল, দুটি সুইচগিয়ার, ছুরি, গ্যাস লাইট ছয়টি, গুলির খোঁসা জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন তিনজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, দিবাগত রাতে দুর্গাপুর গ্রামের প্রবাসী হাবিবুর রহমানের বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত প্রবেশ করে। তারা বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুটের চেষ্টা করে।
এসময় ডাকাতরা বাড়ির লোকজনের ওপর হামলা চালালে তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী টের পেয়ে ডাকাত দলকে ঘিরে ফেলে। পরে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী দুজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তবে অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
আশুগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুদ আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আহত দুই ডাকাতকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে তাদের মৃত্যু হয়। তাদের মরদেহ ময়না তদন্তের হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ডাকাতের হামলায় বাড়ির গৃহকর্তা হাবিবুর রহমানের ছেলে ছানাউল্লাহ মিয়া (৪০), হাবিবুর রহমানের নাতী রাহুল মিয়া (২৫) ও হাবিবুর রহমানের প্রবাসী ছেলে কাউছার মিয়ার স্ত্রী প্রীতি আক্তারকে (২৫) আহত হন। তাদের মধ্যে ছানাউল্লাহ মিয়া ও রাহুল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Discussion about this post