নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: টাকার বান্ডিলের ওপর ঘুমিয়ে থাকাসহ বেশ কিছু কারণে আলোচিত ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমানকে অবশেষে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। জেলা পুলিশ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ তাকে ডিবি থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেছে।
রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রশাসনিক কারণে এসআই আরিফ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টাকার উৎসের সঠিক তথ্য উপস্থাপন না করতে পারলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিভিন্ন সময় নানা ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়া এই পুলিশ কর্মকর্তাকে সর্বশেষ গত সপ্তাহে গাড়ির ভেতরে টাকার বান্ডিলের ওপর বসে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায়। এ ঘটনায় বিতর্ক সৃষ্টি হলে তাকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা পুলিশ প্রশাসন।
যদিও জেলা পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, প্রশাসনিক কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে জেলা পুলিশেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, টাকার বান্ডিলের ওপর ঘুমিয়ে থাকার ঘটনায় যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তার জের ধরে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
প্রসঙ্গত, এসআই আরিফের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিতর্ক ছিল। মাদক চোরাকারবারিদের আটক করে সময়মতো আদালতে না পাঠিয়ে ডিবি কার্যালয়ে রেখে দেনদরবার করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি চিহ্নিত শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গেও তার বেশ ঘনিষ্ঠতাও রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
গত বুধবার একটি মাইক্রোবাসের মধ্যে বেশ কিছু টাকার বান্ডিলের ওপর ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায় এসআই আরিফকে। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে সমালোচনা হয়। তবে এসআই আরিফের দাবি, ওই টাকা তার বৈধ উপায়ে আয় করা এবং ঘটনাটি পাঁচ মাস আগের। তিনি জানান , ওই টাকা বৈধ উপায়ে আয় করা। সে সময় তার মা অসুস্থ ছিলেন। মূলত সেজন্যই ১ লাখ ২০ হাজার টাকা তিনি একজনের কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন। তিনি নিজেও সেদিন অসুস্থ ও চিন্তিত ছিলেন। ওই সময় গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়লে কেউ ছবি তুলে ছড়িয়ে দেয়।
ওই বান্ডিলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিল বলে আরিফ দাবি করলেও জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, টাকাটা বৈধ না অবৈধ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি টাকার পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
Discussion about this post