নিজস্ব প্রতিবেদক: ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) উদ্যোক্তা পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর বিরুদ্ধে দুদকের করা টাঙ্গাইলের মানি লন্ডারিংয়ের এক মামলায় জামিন বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ। বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আজ বুধবার (০৩ জুন) জামিন বাতিলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ফৌজদারি রিভিশন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল আদালত এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী শামসুন নাহার কনা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। আসামিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন ও কবির শাহরিয়ার বিপ্লব।
দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানান, রাশেদুল হক ৫ মামলায় অধস্তন আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন। এর বিরুদ্ধে দুদকের আবেদনের পর এক মামলায় হাইকোর্ট তার জামিন নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত স্থগিত করেছেন। আর তিন মামলায় তার জামিন বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এদিকে টাঙ্গাইলের এক মামলায় আজ জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল।
তিনি আরও জানান, আজকের মনিলন্ডারিং মামলাটি টাঙ্গাইলে ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর করে দুদক। এই মামলায় ২৭ মে তাকে জামিন দেন টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজের ভার্চুয়াল কোর্ট। ওই জামিনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেটি শুনানি নিয়ে জামিম আদেশ বাতিল করে দিলেন হাইকোর্ট।
শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান হাইকোর্টকে জানান, টাঙ্গাইল ভার্চুয়াল কোর্ট দুদকের আইনজীবী ও পিপিকে শুনানি না করে জামিন দিয়েছিলেন। দুদক জামিন বাতিলের জন্য ফৌজদারী রিভিশন মামলা দায়ের করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এসটুএস কর্পোরেশনের ঋণ থেকে রাশেদুল হক চিশতির নামে ব্যাংকের শেয়ার ক্রয় বিক্রয় পে- অর্ডার ইস্যুর মাধ্যমে মানী লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করে ৯,২৮,৯২,৫০০ টাকা আত্মসাৎ করায় দুদকের উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল মডেল থানার মামলা করেন। মামলায় আসামি ৪ জন। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় মামলাটি টাঙ্গাইল বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন।
Discussion about this post