ফরিদ মিয়া, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ এখন দরিদ্র শিক্ষার্থীদের গলার ফাঁস হয়ে দাড়িয়েছে। যেসব অভিভাবকের নুন আনতে পানতা ফুরায় তাদের সন্তানের পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে গিয়ে হাজার হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। ধার করে আবার কেউবা সুদে টাকা নেয়ার শর্ত মাথায় নিয়ে সন্তানের উজ্জল ভবিষ্যতের কথা ভেবে পরীক্ষার ফি দিতে বাধ্য হচ্ছে। পরীক্ষার ফরম পূরণ নিয়ে প্রতিবারের মতো এবারও জমজমাট ব্যবসায় নেমেছে উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাছের বাজারের মতো দরকষাকষি করে নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষার ফি। উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয় গুলোতে পাল্লা দিয়ে চলছে এ অনিয়ম। আর এর মুলে রয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির হাত। অথচ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস যেনো কিছুই জানে না।
কয়েকজন অভিভাবক বলেন, আমরা গাভীর দুধ আর বাড়ির সবজি বিক্রি করে সংসার চালাই। কোনভাবে চলে আমাদের দিনপাত। এখন পরীক্ষার ফরম পূরণের এতোটাকা আমরা কোথায় পাবো। ধার বা সুদের ফাঁদে পরা ছারা আমদের আর কোন উপায় নেই।
এদিকে কয়েকটি উপজেলার বেশ কিছু বিদ্যালয় সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে কোথাও নেওয়া হচ্ছেনা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত বোর্ড ফি। নানা খাত তৈরি করে পকেট ভারির মহাৎসব চালিয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিন্দুবাসিনি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, পাথরাইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান উচ্চ বিদ্যালয়, দেওজান সমাজ কল্যাণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শাফিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সৈয়দ জব্বার আলী বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ডা. এফ আর খান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, আটিয়া আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, এম এ করিম উচ্চ বিদ্যালয়, বেলায়েত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, নলশোঁধা বালিকা বিদ্যালয় সহ অধিকাংশ বিদ্যালয় গুলোতে ২২শ” টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত এসএসসি পরিক্ষার ফি ধার্য করা হয়েছে। এমতবস্থায় চরম বিপাকে পরেছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে এক শিক্ষা কর্মকর্তা রোকেয়া খাতুন বলেন, নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং করানোর কথা সরকারি ভাবেই আছে। আর তাই কোচিং বাবদ কিছু বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমি প্রতিষ্ঠান গুলোকে বলে দিয়েছি যাতে কোন দরিদ্র শিক্ষার্থিকে ফরম পূরণ করতে গিয়ে টাকার কারনে সমস্যায় পড়তে না হয়।
Discussion about this post