নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার চক্ষু শিবিরের অপারেশনে ২০ জন রোগীর একটি করে চক্ষু নষ্ট হলেও অন্যটি এখনও ভালো আছে। এক চোখে দৃষ্টিশক্তি বিদ্যমান বিশেষজ্ঞ কমিটির এমন মতামত দেখে হাইকোর্ট প্রশ্ন করেছেন ডাক্তারের নৈতিকতার মান কোথায়?
মঙ্গলবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। অপারেশনের পর ২০ জনের চোখ হারানোর ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের তদন্ত রিপোর্ট সোমবার দাখিল করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আদালত বলেন, ‘এই চক্ষু শিবিরে অপারেশনকারী ডাক্তার মো. শাহীনের অভিজ্ঞতা-দক্ষতা নিয়ে আমাদের কোনো প্রশ্ন নেই। আমরা দেখব এই অপারেশনে ডাক্তার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা আছে কিনা। হাইকোর্ট বলেন, গরিব মানুষ আস্থা নিয়ে চোখের চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে যান। এখানে গরিব মানুষের আস্থা ভঙ্গ হয়েছে।’
মঙ্গলবার আদালতে ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে কথা বলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। তিনি বলেন, চক্ষু শিবিরে যে কোম্পানি থেকে ওষুধ ও অপারেশনের যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে সে কোম্পানির নাম আসেনি। তাদেরকে এখানে পক্ষভুক্ত করা হোক। তখন আদালত বুধবার আবারও শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। ওই দিন অপারেশনে ব্যবহৃত আইরিশ ওষুধ কোম্পানির বিষয়ে একটি আবেদন করতে বলেন।
২৯ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪ মার্চ থেকে চুয়াডাঙ্গার ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে তিন দিনের চক্ষু শিবিরের দ্বিতীয় দিনে ২৪ জন নারী-পুরুষের চোখের ছানি (ফ্যাকো) কাটা হয়।
ওই অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক মোহাম্মদ শাহীন। পরদিন বাসায় ফেরার পর ওই রোগীদের চোখে সংক্রমণ দেখা দেয়।
চোখে জ্বালাপোড়া নিয়ে তারা যোগাযোগ করেন ইমপ্যাক্ট হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও পরে কয়েকজন রোগীকে স্থানীয় এক চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।




Discussion about this post