নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ কার্যকর হয়েছে। আজ সোমবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ সংক্রান্ত বিলে সম্মতি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদিন সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি খসড়া আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সমালোচিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা তথ্যপ্রযুক্তি আইন থেকে সরিয়ে সেগুলো আরও বিশদ আকারে যুক্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে।
বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে সরকারের তরফে বলা হয়েছে, জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও ডিজিটাল অপরাধসমূহ প্রতিকার, প্রতিরোধ, দমন, শনাক্তকরণ, তদন্ত বিচার ইত্যাদি কারণে বিলটি অপরিহার্য।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস হয়। প্রস্তাবিত এই আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই সম্পাদক পরিষদ ও সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো এর বিশেষ কয়েকটি ধারা নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছে। সম্পাদক পরিষদ এই বিলের অন্তত ৯টি ধারা নিয়ে আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সম্পাদকেরা বলেছেন, প্রস্তাবিত এই আইন বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলে দেবে। দেশ-বিদেশের মানবাধিকার ও সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোও আইনটির কড়া সমালোচনা করে আসছে।
এ পরিস্থিতিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সম্পাদক পরিষদ মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরপর তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধে পরিষদ সেই কর্মসূচি স্থগিত করে। গত রবিবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সঙ্গে সম্পাদক পরিষদের বৈঠক হয়। সেখানে এই তিন মন্ত্রী সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ নিরসনে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দেন।
Discussion about this post