বিডিলনিউজঃ সর্বশেষ তথ্যমতে জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যালয় ঘিরে আশপাশের ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
এই হিসাবে এখন প্রতি বর্গ কিলোমিটারে পুলিশ রয়েছে এক হাজার। তাছাড়া, রাস্তায় টহল দিচ্ছে র্যাব-পুলিশের শত শত টিম। যত্রতত্র তল্লাশি চালানো হচ্ছে সন্দেহভাজন পথচারি এবং যানবাহনে।
নয়া পল্টনের কেন্দ্রিয় কার্যালয় এলাকায় স্মরণকালের কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হলেও আশপাশের রাস্তাগুলোতে আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। পুলিশে পুলিশে ছেয়ে গেছে রাজধানী ঢাকা। অনেক এলাকায়ই সাধারণ মানুষের চেয়ে পুলিশের সংখ্যাই বেশি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় পাশের কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মগবাজার, মৎস্যভবন, শাহবাগ, বাংলামোটর, প্রেসক্লাব, পুরান পল্টন, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল, কমলাপুর, খিলগাঁওসহ আশপাশের এলাকায় মোতায়েন রয়েছে হাজার হাজার পুলিশ এবং র্যাব সদস্য।
নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে জল কামান, আমার্ডকারসহ ভারি যানবাহন। পুলিশী এই রাজত্বের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যালয় অভিমুখে যাওয়ার বিন্দুমাত্র সুযোগ পাচ্ছেন না দলীয় নেতা-কর্মীরা।
এমনকি রাজধানীর কোথাও একাধিক মানুষ এক সাথে হবার সুযোগ দিচ্ছে না পুলিশ। পুলিশের তল্লাশির কারণে কার্যত রাজধানীতে এক অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।
এরই মাঝে জাতীয় প্রেসক্লাবে সরকারদলীয় সমর্থকদের হামলা এবং তার আগে বিএনপি-জামায়াতপহ্নী সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনায় ওই এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র উত্তজনাকর পরিস্থিতি।
প্রায় একই সময়ে হাহকোর্ট গেটে বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার সময়ে জলকামান ছোড়া হয়েছে।
বেলা ১১ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় একাধিক ঘটনার পাশাপাশি মগবাজার এলাকায় শিবির এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে এক শিবিরকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় অশান্ত হয়ে ওঠে পুরো রাজধানী।
সরেজমিন দেখা যায়, ফকিরাপুল, বিজয় নগর, পল্টন, মতিঝিল এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্য এলাকার তুলনায় ছিল অনেক কঠোর। ১৮ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়া ঘোষিত ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ সফল করতে বিএনপিসহ জোট নেতা-কর্মীদের যেভাবে রাস্তায় নামার কথা ছিল তা পারেননি।
Discussion about this post