বিডি ল নিউজঃ

অবশেষে শিক্ষকদের আশ্বাসে দাবি আদায় ছাড়াই অনশন ভাঙলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগের দাবিতে আন্দোলনরত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে জুস খাইয়ে আন্দোলনকারীদের অনশন ভাঙান।
এর আগে বিকালে অনশনের ষষ্ঠ দিনে আন্দোলনকারীদের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন শিক্ষক উপাচার্যের কাছে একটি বিবৃতি দেন। পরে সন্ধ্যায় ওই শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল শহীদ মিনারে আসেন। এদের মধ্যে ছিলেন- অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মোসাহিদা সুলতানা।
অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, অনশন স্থগিত করা মানেই আন্দোলনে পরাজিত হওয়া নয়। আমরা আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তন করব। জনসম্পৃক্তির চেষ্টা করব। আন্দোলনে নানা চড়াই-উৎরাই থাকে। সব সময় এক “স্ট্রাইকে” বিজয় অর্জন হয় না। তোমরা তোমাদের সাধ্য অনুযায়ী করেছ, “সাধ্যাতিরিক্ত” কিছু করে দুর্ঘটনা ডেকে এনো না।’
তিনি বলেন, ঢাবি প্রশাসনের কোনো মানবিকতা দেখলাম না। তাদের মধ্যে যদি নীতি না থাকে, তবু মানবিকতার খাতিরে তাদের আসা উচিত ছিল। তারা কেন এ বছর থেকেই এ সিদ্ধান্তে অটল, সেটা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বলতে পারত।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে সালমান খান বলেন, তারা শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ও তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পেয়ে অনশন ভাঙছেন। তবে এটাই তাদের শেষ নয়। তারা আন্দোলনের কৌশল পরিবর্তন করবেন।
এসময় উপস্থিত ঢাবির সাবেক সিনেট সদস্য শিক্ষাবিদ এ এন রাশেদা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় শিক্ষার্থীদের বক্তব্য নিচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের বলার পথও বন্ধ করে রেখেছে ডাকসু নির্বাচন না দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়টাই বেআইনিভাবে চলছে।



Discussion about this post