
এখন থেকে সব ধরনের তামাক পণ্যের মোড়কে সচিত্র সতর্কবার্তার বাধ্যবাধকতা কার্যকর হলেও তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা বলছে, দুয়েকটি জর্দা কোম্পানি ছাড়া কোনো বিড়ি-সিগারেটের মোড়কে তা দেখা যায়নি।
আজ শনিবার (১৯ মার্চ) থেকে সচিত্র সতর্কবাণী ছাড়া কোনো তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বা বাজারজাত করা যাবে না বলে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
২০১৩ সালের এপ্রিলে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন’ যে কয়েকটি কারণে প্রশংসিত হয়েছিল, তার একটি ছবিযুক্ত সতর্কবার্তা। তবে এই সতর্কবার্তা বাস্তবায়নের পদ্ধতি ছেড়ে দেওয়া হয় বিধির উপর।
সংশোধিত ওই আইনে তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট, মোড়ক, কার্টন বা কৌটার উভয় পাশে মূল প্রদর্শনী তলের অন্তত ৫০ভাগ স্থানজুড়ে রঙিন ছবি ও লেখা সম্বলিত সতর্কবার্তা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। যে সব প্যাকেট চৌকোণা নয় সেগুলোর মূল প্রদর্শনী তলের উপরে ৫০ ভাগ স্থানে এই সতর্কবার্তা রাখতে বলা হয়।
প্রায় ২ বছর সময় নিয়ে ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা’ করে সরকার। তাৎক্ষণিক কার্যকারিতা দিয়ে করা বিধিমালা মেনে চলতে বাধ্যবাধকতা আসতে ১২ মাস সময় পায় তামাক কোম্পানিগুলো। ছাড়ের এই সময়সীমা শেষ হয়েছে ১৮ মার্চ।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “১৯ মার্চ থেকে সচিত্র সতর্কবাণী ব্যতিত কোন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বা বাজারজাত করা যাবে না।”
সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ও গুলসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট, কার্টন, বা কৌটার উপরে অন্যূন শতকরা ৫০ভাগ স্থানজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী থাকতে হবে।
“তবে কোনো প্রতিষ্ঠান অত্যাবশ্যক মনে করলে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসাবে তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট, কার্টন বা কৌটার নিম্নভাগের অন্যূন শতকরা ৫০ ভাগ স্থানজুড়ে সচিত্র সতর্কবার্তা মুদ্রণ করতে পারে।”
কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই বিধান লঙ্ঘন করলে ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আর এই অপরাধের পুনরাবৃত্তির জন্য পর্যায়ক্রমে দণ্ড দ্বিগুণ হবে।
তবে তামাক কোম্পানিগুলো এই বিধান মানছে না অভিযোগ করে প্রজ্ঞার এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেন, “দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জর্দা কোম্পানি ছাড়া ছবিযুক্ত সতর্কবার্তাসহ আর কারও পণ্য বাজারে দেখা যায়নি।”
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস গণমাধ্যমকে বলেন, “কেউ এই আইন লঙ্ঘন করছে কি না, সেটা ধরতে এখন থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।”




Discussion about this post