নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ও মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠজন। তার সঙ্গে সখ্য করা আর বিষধর সাপের সঙ্গে প্রণয়ে আবদ্ধ হওয়া একই কথা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের ফাঁস হওয়া ফোনালাপে একের পর এক ষড়যন্ত্রের চিত্র পরিস্ফূট হচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু ও বিএনএফ নেতা শওকতের ফাঁস হওয়া ফোনালাপে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান কর্তৃক ড. কামাল হোসেনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে।’
শুক্রবার বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে এমন আশংকার কথা জানিয়ে আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট জোট আগামীকাল সারাদেশে নৈরাজ্য সন্ত্রাস ও সহিংসতার সৃষ্টি করতে করতে পারে। এমনকি ভুয়া ব্যালট পেপার ছাপিয়ে, একটি ভুয়া ভিডিও তৈরি করে তারা নিজেরা গুজব সৃষ্টি করতে পারে।
বিএনপি-জামায়াত ঐক্যফ্রন্টকে অন্ধকারের শক্তি আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এই অন্ধকারের অপশক্তি ক্ষমতায় গেলে কী হবে তা বাংলাদেশের মানুষ ভাল করে জানেন।তাই ৩০ ডিসেম্বর তাদের বর্জন করবে দেশবাসী।
পুলিশ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিচ্ছে এমন মন্তব্য করে আবদুর রহমান বলেন, পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতারা অশোভন আচরণ করার পরও গতকাল ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার আওলাদ হোসেন প্রমুখ।




Discussion about this post