নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত নোয়াখালীর সুধারামের আব্দুল কুদ্দুসের করা জামিন আবেদনের ওপর আপিল শুনানি শুরু হবে।
আজ রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য রয়েছে। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের (কজলিস্ট) কার্যতালিকার ৮ নম্বরে রয়েছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি অসুস্থতার গ্রাউন্ডে জামিন আবেদন করেছেন। এ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের তালিকায় রয়েছে। তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এই প্রথম কোনো আসামির জামিন আবেদন করা হয়েছে কোর্টের আপিল বিভাগে।
এ বিষয়ে প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম বলেন, এই মামলায় মোট আসামি চারজন। এর মধ্যে আব্দুল কুদ্দুসের ২০ বছরের দণ্ড এবং বাকি তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, মামলায় ২০ বছরের দণ্ড নিয়ে আপিল বিভাগে জামিন আবেদন করা হয়েছে। জামিনের বিষয়ে রবিবার শুনানি হওয়ার কথা। আসামিপক্ষে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করবেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
এর আগে গত ১৩ মার্চ এই মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। একই মামলায় অপর আসামি মো. আব্দুল কুদ্দুসের হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড। এই চার আসামির মধ্যে মনসুর পলাতক রয়েছেন। বাকি তিনজন রায় ঘোষণার দিন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post