দিনাজপুরে আইন ও বিচার সচিব জাহিরুল হক দেশের মামলার জট নিরসনে বিরোধ নিস্পত্তির বিকল্প নেই;" সরকারী আইনী সেবার মানোন্নয়ন সহায়তা প্রদান প্রকল্পের সচেতনতামূলক সেমিনার গতকাল শনিবার দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।</p> গরিব-দুঃখীর মামলার ব্যয় বাংলাদেশ সরকার দেয়” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শনিবার সকালে দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস আয়োজিত সরকারী আইনী সেবার মানোন্নয়ন প্রকল্পের সরকারী আইনী কার্যক্রমের সাফল্য ও বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি শীর্ষক সচেতনতামূলক সেমিনারে আইন বিচার সচিব বলেন, বিচার ব্যবস্থায় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সরকারি খরচে অসহায় মানুষের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন নিজ নিজ অবস্থান থেকেই প্রচার করা। জানাতে হবে ধনী, গরীব সকলের জন্য সরকারি খরচে আইনী সহায়তা প্রদানের কথা। মামলা নয় বিরোধ নিষ্পত্তি কল্পে আইনজীবীদের আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। সারাদেশে মামলার যে জট রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে বিরোধ নিষ্পত্তির বিকল্প নেই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।</p> >সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ও আইনগত সহায়তা কমিটির চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মাহবুব আলী মুয়াদ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা জজ মোঃ আখতার উল আলম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মাহমুদুল করিম, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমিন, উপসচিব (প্রশাসন-১) মোঃ মাহাবুবুর রহমান সরকার, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ মোঃ আজিজুল ইসলাম জুগলু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ মোঃ একরামুল আমিন, পিপি এ্যাডঃ মোঃ হামিদুল ইসলাম, জিপি এ্যাডঃ ওয়াহেদ আলী নবেল, কাহারোল উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মামুনুর রশিদ, মোমিনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মন্ডল, প্যানেল ল’ইয়ার এ্যাডঃ গুলনাহার মনসুর, সুবিধাভোগী মোছাঃ নুরুফা বেগম ও মোছাঃ খদিজা বেগম।</span></p> দিনাজপুর জেলা লিগ্যাল এইড কার্যক্রমে ২০১০ সালে ১৫ জন, ২০১১ সালে ৫৮ জন, ২০১২ সালে ১১৭ জন, ২০১৩ সালে ২০৮ জন ২০১৪ সালে ২০৮ জন এবং ২০১৫ সাল ৭৫০ জন গরীব অসহায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে সরকারি খরচে আইনী সেবা প্রদান করা হয়েছে।



Discussion about this post