নিজস্ব প্রতিবেদক: সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনার মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করে চার্জশিট দিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করেছে দুদক। কী কারণে দুদক এ রকম কাজ করেছে, এটি জাতি জানতে চায়। এসময় তিনি বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় মামলা না হওয়ায় দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের পদত্যাগ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে মামলা করেনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে মামলা না করার দায়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ করা উচিত।
আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, বাচ্চুর বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির বিভিন্ন প্রতিবেদনে ব্যাংক কেলেঙ্কারির সঙ্গে বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতার বিষয় উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত বেসিক ব্যাংকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ৫৬ টি এবং পরের বছর আরও পাঁচটি মামলা করে দুদক। এসব মামলা করার পর ৪০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও অভিযোগপত্র দেয়নি সংস্থাটি। মামলায় ব্যাংকার ও ঋণগ্রহীতাদের আসামি করা হলেও ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের কাউকেই আসামি করা হয়নি।
বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জড়িত থাকার কথা বলা হলেও মামলায় তাদের আসামি করা হয়নি। এবং মামলা হওয়ার পর তদন্ত পর্যায়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেও অভিযোগপত্র এখনও জমা দেয়া হয়নি।
বেসিক ব্যাংকের ঘটনায় করা মামলাগুলোয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা অনেক দিন ধরে কারাগারে। ঋণগ্রহীতা কেউ কেউ ব্যবসায়ী। গ্রেফতার হওয়ার পর তারা জামিনে বেরিয়ে দেশের বাইরে চলে গেছেন। কেউ কেউ গ্রেফতার এড়াতে দেশ ছেড়েছেন। যারা এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তাদের সবাই এখন বাইরে আছেন।




Discussion about this post