নিজস্ব প্রতিবেদক: হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় রাজধানীতে হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। তবুও সবগুলো পুলিশ লাইনের পাশাপাশি আলাদা পুলিশ ফোর্সও প্রস্তুত আছে। বিশেষ করে ভিভিআইপিরা যেসব মন্দিরে যাবেন, সেখানে ডগ স্কোয়াড ও মাইন ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ভিভিআইপিরা যেসব মন্দিরে যাবেন, সেখানে ডগ স্কোয়াড ও মাইন ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে। পূজা উপলক্ষে ঢাকায় বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএমপি। মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবকরা বিশেষ ‘আর্মব্যান্ড’ পড়ে থাকবে। যেসব মন্দিরের পাশে মেলা বসবে তা সংক্ষিপ্ত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পূজায় কোনো সহিংস ঘটনার গোয়েন্দা তথ্য আমাদের কাছে নেই। আপনারা জানেন, ঢাকা মহানগরীর মধ্যে পরপর পাঁচটি বোমা হামলা হয়েছিল, যা ছিল পুলিশের ওপর জঙ্গিদের হামলা। হামলায় সংশ্লিষ্ট টোটাল টিমটা আমরা ধরতে পেরেছি এবং বাকিদের সবাই আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। ওইদিক থেকে একটা জঙ্গি হামলার যে আশঙ্কা ছিল, কিন্তু এখন আমরা মনে করি, সেটি এখন আর নেই।
ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৩৭টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে চারটি পারিবারিক। ২৩৩টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন, বনানী ও কলবাগানের সার্বজনীন দুর্গাপূজাকে ‘বিশেষ শ্রেণি’ভুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি, রমনা কালীবাড়ি, বসুন্ধরা সার্বজনীন দুর্গাপূজা, উত্তরা ও কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটের পূজাকে ‘বৃহত্তম’ শ্রেণিতে রেখেছে ডিএমপি। এছাড়া রাজধানীতে ৮৬টি পূজা মণ্ডপকে দুই তারকা বিশিষ্ট, ৭৭টি মণ্ডপকে এক তারকা বিশিষ্ট, ৬১টি মণ্ডপকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে রেখেছে ডিএমপি।




Discussion about this post