ইন্টারনেট
মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি সমস্যার সমাধান করে গুণগতমান সম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে গ্রাহকদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইন্টারনেটের গতি সেবা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিট দায়ের করেন।
রিটকারীদের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘দেশে ইন্টারনেটের গতি এতটাই দুর্বল যে, অনেক জায়গায় মানুষ ইন্টারনেটের সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের যে টাকা দিয়ে নেট কেনা হয়, তার মেয়াদ শেষ হলে আর ব্যবহার করা যায় না। এই নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করতে না পারার অন্যতম কারণ হলো ধীরগতি। এ ব্যাপারে বছরে সাড়ে পাঁচ লাখ অভিযোগ জমা হয় বিআরটিসিতে। এরপরও এ বিষয়ে কোনও সমাধান না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করা হলো।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতির কারণে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেওয়া হয়, সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রত বৃদ্ধি পেলেও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী সেবা প্রদান করছে না, যার ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিজিটাল সেবার মান নিশ্চিতকরকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকায় শেষের দিকে।
তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সচিব, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান, গ্রামীণ ফোনসহ মোবাইল কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
Discussion about this post