ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে এক গৃহকর্তা আবারও ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সিলেটের বিয়ানীবাজারে এক লন্ডনপ্রবাসীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৯) একটি দল।
গত শনিবার রাতে লন্ডনপ্রবাসীর বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) ভর্তি করা হয়েছে। আটক লন্ডনপ্রবাসী সারোয়ার আহমদ (৩৮) বিয়ানীবাজারের কুড়ারবাজার ইউনিয়নের দেউলগ্রামে নিজ বাড়িতে ছয় মাস ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন।
কিশোরীর বাবা জানান, বিয়ানীবাজারের পাশের উপজেলা কানাইঘাটের বাসিন্দা তাঁরা। গত ১৩ এপ্রিল তাঁর ১২ বছর বয়সী মেয়েকে ওই গ্রামেরই কয়েকজন ধর্ষণ করে। প্রায় এক সপ্তাহ পর ঘটনাটি তাঁরা মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন। ২১ এপ্রিল দেউলগ্রামে সারোয়ারের বাড়িতে যান। এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত হওয়ায় সারোয়ারের কাছে সহায়তা চান তাঁরা। সারোয়ার নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেন তাঁদের। কিশোরীর বাবা-মাকে তাঁর বাড়িতে থেকে কাজকর্ম করার পাশাপাশি মামলাসহ আইনি পদক্ষেপ চালানোর পরামর্শ দেন।
কিশোরীর বাবা বলেন, কয়েক দিন ধরে মেয়েটিকে বিচলিত দেখছিলেন। পরে মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন, সারোয়ার প্রায় রাতেই তাকে ধর্ষণ করেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি সারোয়ারের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে জানাজানি হয়। এ ঘটনা শুনে ওই দিন বিকেলে সারোয়ারের স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যান। এ ক্ষোভে সারোয়ার কিশোরীর মাকে বেধড়ক পেটান।
ওসিসি সূত্র জানায়, আহত অবস্থায় মেয়েটির মাকে শনিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে ওসিসিতে স্থানান্তর করা হয়। র্যাব সদস্যরা ঘটনা জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকেও উদ্ধার করেন। মা-মেয়ে দুজনই এখন ওসিসিতে আছেন।
র্যাব-৯-এর জ্যেষ্ঠ এএসপি মাঈন উদ্দিন চৌধুরী জানান, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন মা তাঁর মেয়েকে উদ্ধারের আকুতি জানালে শনিবার দিবাগত রাতেই দেউলগ্রামে সারোয়ারের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মেয়েটিকে উদ্ধার এবং সারোয়ারকে আটক করা হয়।
যোগাযোগ করলে বিয়ানীবাজার থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে র্যাবের হাতে একজন আটক হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে আমাদের কাছে আটক ব্যক্তিকে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি।’




Discussion about this post