
বিডি ল নিউজঃ ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কের বিষাদ বোঝাতে শব্দের ব্যবহার নয়, আজ বোধহয় একটা দৃশ্যপট তুলে ধরা যথাযথ হবে। মুম্বই ইনিংসের উনিশ নম্বর ওভারটা শেষ হয়েছে। আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনি মাথা থেকে হেলমেটটা খুলে ছুঁড়ে দিচ্ছেন আকাশে।
হতাশায়। বিষাদে। অবিশ্বাসে।
এমএসডিরও তা হলে ভুল হয়! তাঁর সামনেও তা হলে ফাটকা খেলে বেরিয়ে যাওয়া যায়!
ভারতীয় ক্রিকেটে ভাগ্যের বরপুত্র তিনি। বহু ম্যাচ বার করেছেন এমন ফাটকায়, যা অন্য কোনও অধিনায়ক কল্পনা করতেও দু’বার ভাববেন। সেই ধোনিকে তাঁর নিজের দুর্গে দাঁড়িয়ে দেখতে হল, চোখের সামনে এক ‘ফাটকা’-য় ম্যাচ বার করে নিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় দলে তাঁরই অত্যন্ত প্রিয় রোহিত শর্মা!
একটা হার্দিক পান্ডিয়া দিয়ে।
বডোদরার ছেলে আইপিএল আটে আর ক’টা এমন ইনিংস খেলবেন, সন্দেহ। ৮ বলে ২১ রোজ হয় না। কিন্তু শুক্রবারের চিপকে তিনি অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ১৫৮ তাড়া করতে গিয়ে তখনও জিততে দরকার ছিল দু’ওভারে ৩১। রোহিত-পোলার্ড কেউ নেই। তিনি আর রায়ডু। পড়ে থাকা দু’টো ওভারের একটা আবার করবেন ডোয়েন ব্র্যাভো। যাঁকে তখন ছোঁয়ানোও দুঃসাধ্য হচ্ছে। শেষ ওভারটা ব্র্যাভোর জন্য রেখে উনিশ নম্বর ওভারটা পবন নেগিকে দিয়েছিলেন ধোনি। যে নেগি ১৭ বলে ৩৬-এর পর বোলিংয়ে তিন ওভারে দশ। নেগির প্রথম বলটাই উড়ে গেল সাইটস্ক্রিনের উপর দিয়ে। পরেরটা মিস। তার পর আবার। এবং তার পরেরটাও। তিনটেই পান্ডিয়া! পঞ্চম বলে এক, শেষ বলে আবার ছয়। এ বার রায়ডু (১৯ বলে ৩৪ ন:আ:) এবং এক ওভারে পঁচিশ তুলে ম্যাচ ওখানেই শেষ।
‘‘নেগিকে আনতে বাধ্য হয়েছিলাম। পেসাররা মার খাচ্ছিল। ট্যাকটিকাল ভুল হয়ে গেল,’’ ম্যাচ শেষে বললেন ধোনি। একটু পর রোহিত বললেন যে, তাঁকে একটা ফাটকা খেলতে হয়েছিল। ‘‘ভাজ্জি না পান্ডিয়া, কাকে পাঠাব তা নিয়ে একটা ফাটকা খেলতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ব্যাটসম্যান বলে পান্ডিয়াকেই পাঠাই।’’ আর নায়ক হার্দিক এলেন সবার শেষে। ‘‘আমার একটাই গুণ। খুব জোরে হিট করতে পারি।’’
আসলে দিনটা আজ ধোনির ছিল না। নিজের দুর্গে এত দিন অপ্রতিরোধ্য ছিল সিএসকে। মুম্বই সেখানে জিতে পাঁচে পাঁচ করে দিল। রাতে আবার খবর এল, জমিসংক্রান্ত একটা ব্যাপারে ঝাড়খণ্ড স্টেট হাউজিং বোর্ড একটা নোটিস পাঠিয়েছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে।”এবিপি আনন্দ
Discussion about this post