নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র ইছাহাক হোসেন (৭৫) দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে ইছাহাক হোসেনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে তিনি নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। তিনি পত্নীতলা উপজেলা নজিপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের মৃত খায়ের মুন্সীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে রাতে ইছাহাক হোসেন শহরের নজিপুর এলাকায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাড়িতে প্রবেশের সময় ওৎপেতে থাকা ৪/৫ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। হামলায় তার প্রাইভেটকার চালকও আহত হন।
স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইছাহক হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে তার বাড়ির দূরত্ব আনুমানিক দেড় কিলোমিটার।
পত্নীতলা থানার ওসি পরিমল চন্দ্র বলেন,‘প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে কাজ শেষে বাসার উদ্দেশে বের হন তিনি। গাড়ি থেকে নেমে বাসার গেটে ঢোকার সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তার চিৎকারে ড্রাইভার দুলাল গাড়ি থেকে নেমে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। দুলালের চিৎকারে গ্রামবাসী এসে আহত দু’জনকে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পথে ইছাহক হোসেন মারা যান। আহত দুলাল নজিপুর ইউনিয়নের চকদূর্গায়ন গ্রামের নারায়ন রায়ের ছেলে।’
তিনি আরো বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনার পিছনে সঠিক কোনো কারণ জানা যায়নি। দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার দেবাশীষ রায় জানান, গ্রামবাসীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইছাহাক হোসেন ও তার ড্রাইভার দুলাল রায়কে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই ইছাহাক হোসেন মারা যান। দুলাল রায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইছাহাক হোসেনের মাথায়, বুকে ও শরীরের বেশ কিছু জায়গায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।




Discussion about this post