নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় চাচা-ভাতিজাসহ ৩ খুনের ঘটনায় ২টি মামলা দায়ের হয়েছে। জেলা পরিষদ সদস্য সুলতান মাহামুদ বিপ্লবসহ ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত হাবিব মোল্যার ভাই মোমরেজ মোল্য। একই পক্ষে পুলিশের এক এএসআই ওসমানকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ১৭ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন তার ভাই কিবরিয়া মোল্যা। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত ৫ জন গ্রেপ্তারসহ মোট ১৮ জনকে আটক করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ।
আজ শনিবার (১৩ জুন) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
জানাে গছে, লোহাগড়া উপজেলার গন্ডব গ্রামে বংশিয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহামুদ বিপ্লব ও মিরাজ মোল্লার নেতৃত্বে শেখ ও মোল্যা বংশের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঝামেলা চলে আসছিলো। গত ১০ জুন দুপুরে উভয়পক্ষের মীমাংসার কথা বলে এক পক্ষের লোক অন্য পক্ষকে আক্রমণ করে। ঘটনাস্থালে দুইজন এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে নেবার পথে আরো একজন মারা যায়।
নিহতরা হলেন, গন্ডব গ্রামের চাচা হাবিব মোল্যা (৫৫), ভাতিজা মুক্তার মোল্লা (৬০) ও চালিঘাট গ্রামের রফিকুল মোল্যা (৩০)। পুলিশের এক এএসআইসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
গন্ডব এলাকার একজন পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই ওসমান) যিনি ঢাকায় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত। তিনি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ছুটিতে বাড়িতে আসেন। শেখ বংশীয় লোকেরা তাকে কুপিয়ে আহত করার মধ্যে দিয়ে ঘটনার সূত্রপাত ঘটায়। আহত পুলিশ কর্মকর্তাসহ আশংকাজনক অবস্থায় কয়েকজন খুলনা ও ঢাকাতে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে হত্যাকাণ্ডে শেখ বংশের দলনেতা বিপ্লব শেখের চাচা ডিআইজি শেখ নাজমুল আলমকে জড়িয়ে অপরপক্ষ লাশ কাঁধে করে গত ১১ জুন নড়াইল ও লোহাগড়ায় ঝাড়ু মিছিল করেছে। ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম সিআইডির (ক্রাইমও ফরেনসিক) বিভাগে ঢাকায় কর্মরত আছেন।
Discussion about this post