মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: ধর্ষণ যেনো সারাদেশে মহমারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু, কিশোরী, যুবতি, নারী, মাঝ বয়সি বা বৃদ্ধা কেউই রেহাই পাচ্ছেনা ধর্ষণের হাত থেকে। আবার ধর্ষকও তেমনি, কোথাওবা চাচার হাতে ভাতিজি, খালুর কাছে ভাগ্নি, কিশোরের হাতে কিশোরী হচ্ছে ধর্ষণের শিকার। তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায়। ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে ষাটোর্ধ্ব বয়সের দাদা। এই অভিযোগে ধর্ষক দাদাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। এবং সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত আজ রবিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর তাকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
শিশুটির মা জানান, ষাটোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি সম্পর্কে শিশুটির চাচাতো দাদা। তার সবাই একই বাড়িতে বসবাস করতেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মেয়েকে বাড়িতে রেখে দরকারি কাজে পাশের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এ সময় ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পর মেয়ের বাবা বাজার থেকে বাড়িতে এলে মেয়ের চিৎকার শুনে তিনি হাতেনাতে ওই ব্যক্তিকে নগ্ন অবস্থায় ধরে ফেলেন। পরে থানায় খবর দিলে রাতেই পুলিশ তাকে আটক করে।
এ ব্যাপারে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রফেতারের পর শনিবার দুপুরে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত আজ রবিবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
এছাড়া ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করে তাকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।
মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. লুৎফর রহমান বলেন, শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা শনিবার দুপুরে সম্পন্ন করা হয়েছে। তিন সদস্যের গঠিত মেডিকেল টিম অতি শিগগিরই রিপোর্ট পেশ করবে।




Discussion about this post