
নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের দু’টি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে ৩১ মার্চ।
সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত একজন ও দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অপর একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ২৩ জনের উপস্থিতিতে দু’জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।
এদিন প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপমের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আদালতে গ্রেফতারদের মধ্যে চারজন ও একজন সাক্ষীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়।
দুপুরে এ ঘটনায় নিহত মনিরুজ্জামানের ছোট ভাই মিজানুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
আরও তিনজন উপস্থিত থাকলেও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সময় প্রার্থনার কারণে এদিন সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতার রয়েছেন ২৩ জন। পলাতক ১২ জন। এ ঘটনায় দু’টি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী বিজয় কুমার পাল হলেন নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের মেয়ের জামাতা ও অপর বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
দু’টি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী ১২৭জন করে। এ কারণে উভয় মামলার সাক্ষীদের একই সঙ্গে দুই মামলায় জেরা করা হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।




Discussion about this post