পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী শহরে গোপনে বৈঠককালে ইসলামী ছাত্র শিবিরের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ওই বাসা থেকে দেড় হাজার বিভিন্ন জিহাদী বই, হাতুড়ি, সিডি, ল্যাপটপ, ১১টি মোবাইল ফোন এবং নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি সংক্রান্ত বিভিন্ন রেজিস্টার বই উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (০২ মার্চ) বিকালে শহরের ছোট চৌরাস্তা এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান (২৫), মোহাম্মদ নোমান (২০), মো. তৈমুর রহমান (২১), মো. হাসিবুর রহমান (২৪) এবং মো. রফিকুল ইসলাম (২৪)।
এদিন রাতে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানান, আটকরা নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছে- এমন সংবাদ আসে তার কাছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. মেহেদী হাসান ও এসআই আমিনুল ইসলাম এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় আটককৃতরা প্রথমে শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন। এ সময় কক্ষ তল্লাশি করে তাদের কাজে ব্যবহৃত নানা সরঞ্জাম পাওয়া গেলে বিষয়টি নিশ্চত হওয়া যায়। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সক্রিয় সদস্য বলে আটককৃতরা স্বীকার করেন।
তারা দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালী শহরের ছোট চৌরাস্তা এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এসপি আরও জানান, অভিযান পরিচালনাকালে তাদের কক্ষ থেকে অন্তত ১৫০০ (চার বস্তা) বিভিন্ন ধরনের জিহাদি বই, লিফলেট, ক্রেস্ট, সমর্থক ফরম, চাঁদা আদায়ের রসিদ, নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি সংক্রান্তের বিভিন্ন রেজিস্টার, বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটির নামসংবলিত রেজিস্টার, হাতুড়ি, লৌহজাতক চেইন, ঈদকার্ড, জিহাদি গানের সিডি, শিবিরের লোগোসংবলিত ২০টি মগ, একটি ল্যাপটপ, দুটি পেনড্রাইভ, ১১টি মোবাইল ফোন, একটি মোটরসাইকেল এবং একটি ব্যানার উদ্ধার করা হয়।
আটকদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের গ্রুপে আরও কোনো সদস্য পটুয়াখালীতে অবস্থান করছে কিনা।




Discussion about this post