নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের পল্টন থানার নাশকতার মামলায় দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী ও ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জেল হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পল্টন থানার নাশকতার একটি মামলায় বিএনপি নেত্রী নিপুণ রুমাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের সাত দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। অন্যদিকে নিপুণ রায়ের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড ও জামিনের আবেদন খারিজ করে একদিন জেলগেটে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
আদালতে নিপুনের পক্ষে শুনানি করেন সানাউন্নাহ মিয়া ও নিপুণের বাবা অ্যাডভোকট নিতাই রায় চৌধুরী।
এর আগে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ঘ হয়। এসময় একাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়। এ ঘটনায় ১৫ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল থেকে নিপুণকে আটক করা হয়। তাঁকে পল্টন থানার নাশকতার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমাকে একইদিন হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ১৬ নভেম্বর পল্টন থানায় দায়ের আরেক মামলায় বিএনপি নেতা নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ৭ জনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা নেয়ার সময় গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এতে পুলিশের পাঁচ কর্মকর্তা, দুজন আনসার সদস্যসহ ২৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় পৃথক তিনটি মামলা করে। তিন মামলাতেই আসামি করা হয়েছে নিপুণ রায়কে।




Discussion about this post