একে.এম নাজিম, হাটহাজারী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নের লালমোহন খাঁন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বেহাল দশা অবস্থায় পড়ে আছে। মারাক্তক ঝুকির মধ্যে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়া লেখা করছে। ভূমিকম্পের কারণে অজোগায়ে পাড়ার এই বিদ্যালয়টি ফাটল দেখা দিয়েছে। উক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়টির চাঁরজন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন শিক্ষক দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে।
জানা যায়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার মোঃ মোবারক আলীর নিজ গ্রামের এই বিদ্যালয়টির দিকে নজর দিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কেউ। উক্ত বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকও নেই। ভারপাপ্ত প্রধান শিক্ষকদিয়ে চলছে এই বিদ্যালটির কার্যক্রম। বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৬৯ সালে পূর্ণ নিমার্ন করা হয় ১৯৮৯ সালে স্বাধীনতার পূর্বে প্রতিষ্টত হলেও ২০১৪ সালে প্রধান শিক্ষক চলে গেলে আর কোন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়নি। প্রথম শ্রেণী হতে প ম শ্রেণী পর্যন্ত আনুমানিক তিন শতকের কাছা কাছি শিক্ষার্থী রয়েছে এসব শিক্ষর্থীদের যেন ভবিষৎত অন্ধকারে নেমে আসছে। বিগত দিনের চরম ভূমিকম্পের কারণে একটি শ্রেণী কক্ষের দেওয়ালে বড় ধরণের ফাটল দেখা দিয়েছে। যার ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করেছে। ২০১৪ সালের দিকে নির্বাচন কমিশনার মোঃ মোবারক আলী বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন এসময় তিনি বিদ্যালয়টি নতুন করে মেরামত করার আশ্বাস দিলেও এখনো সেই আশ্বাসের ছোওয়া লাগেনি।
সরেজমিনে বিদ্যালয়টি ঘুরে দেখা যায়, উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার কোন পরিবেশ নেই বিদ্যালয়ের ভারপাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান এসময় কান্নাজড়িত কন্ঠে এই প্রতিবেদক কে বলেন, আমার বিদ্যালয়টির দিকে একটু নজর দিন বিদ্যালয়টি নিয়ে আমি বড় ধরণের চিন্তায় আছি আমার বয়স তো অনেক হয়েছে আর সময় নেই কিন্তু আমার এলাকার ছোট ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার কি অবস্থা হবে? তিনি আরো বলেন, আবার কোন সময় ভূমিকম্প হলে আমার বিদ্যালয় ও আমার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কিছু হলে আমি অভিভাবকদের কাছে কি জবাব দেবো। ২০১৪ সালে হাটহাজারী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সংশ্লিষ্টরা এসে বিদ্যালয়টি পরিদর্শণ করেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বিদ্যালয়টির উপরে টিন সেড বৃষ্টির হলে পানি পড়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র এবং বিদ্যালয়ের আসভাব পত্র বিজে যাওযার কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারেনা। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন কাজ করছে কিন্তু এর পরও হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টির করুণ অবস্থা। নির্বাচন কমিশনার মোবারক আলী নিজ গ্রামে এই ধরণের বিদ্যালয় পড়ে থাকায় এলাকাবাসী ও অভিবাবকদের মাঝে ক্ষোভের স চার হয়। অভিলম্বে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মেরামতের জন্য অভিবাবক মহল থেকে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি দাবী।
Discussion about this post