নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ১৬ আসামির ফাঁসির রায়ের ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করে আসামিপক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু বলেছেন, আসামিরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আপিল করবেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রায় ঘোষণার পর গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, এই রায় দুর্ভাগ্যজনক, অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত। রাষ্ট্রপক্ষ কোনো অপরাধ সামান্যতমও প্রমাণ করতে পারেনি।
গিয়াস উদ্দিন নান্নু বলেন, আমরা এই রায়ে অসন্তুষ্ট; উচ্চ আদালতে যাবো; এই রায় শেষ রায় না। কেউ আসামি শামীমের নাম বলেনি। কোনো কোনো আসামির জন্য একজনও সাক্ষী দেননি; যা বলার উচ্চ আদালতে বলবো।
এদিকে, ৮০৮ পৃষ্ঠার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।
ঘটনার মাত্র সাড়ে ৬ মাসের মধ্যে ও মাত্র ৬১ কার্যদিবসে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে থানায় যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয়ায় এবং তাকে গ্রেফতার করায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা নুসরাতের উপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দিলে নুসরাত অপারগতা দেখায়। পরে ৬ এপ্রিল সকালে পরীক্ষা হল থেকে তাকে কৌশলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়।
এরপর গত ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যু বরণ করে নুসরাত। এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে ২৯ মে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পিবিআই।




Discussion about this post