নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি অভিশংসন প্রস্তাবের মুখে পদচ্যুত হয়েছেন। রোববার তার বিরুদ্ধে আনা অভিশংসন প্রস্তাবে ২৪৯ এমপি স্বাক্ষর করেন।
ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দুই শরিক দল সুশীলা কারকির বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব দাখিলের পর তদন্ত শুরু হওয়ায় তিনি বরখাস্ত হন। এজন্য পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ আইনপ্রণেতার সমর্থন প্রয়োজন ছিলো। সুশীলার বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট রায় দেওয়া এবং নির্বাহী বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছে। নেপালের সংবিধান অনুযায়ী অভিশংসন কমিটি গঠন এবং তদন্ত কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই প্রধান বিচারপতি বরখাস্ত হন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২ মে সরকারের পছন্দের দ্বিতীয় প্রার্থী প্রকাশ আরিয়ালকে নিয়ে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
এখন পার্লামেন্টের ভোটে সুশীলার ভাগ্য নির্ধারিত হবে। তবে তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে অভিশংসনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন পড়বে। ২০১৬ সালে, প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান ৬৪ বছরের সুশীলা কারকি; জুন মাসে তার অবসরে যাওয়ার কথা।
Discussion about this post