নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত দলের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
রবিবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসে সিইসি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশে নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই, আমার কারণে আমার নেতা কর্মীরা মার খাবে তা আমি মেনে নিতে পারবো না। তাই আমি নিজ থেকেই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি।’
এর আগে গত রবিবার লতিফের নির্বাচনী এলাকা কালিহাতীর গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈল এলাকায় তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও চারটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। এ হামলার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান ইমামের কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করে তিন দফা দাবিতে সেদিনই জেলা রিটার্নিং কার্যালের সামনে অবস্থান নেন লতিফ।
২৪ ঘণ্টা পরও প্রশাসন সেসব দাবির বিষয়ে কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় সোমবার তিনি আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন। তার দাবিগুলো হল- কালিহাতী থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেনকে প্রত্যাহার করতে হবে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আর সরকারদলীয় প্রার্থীকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মুচলেকা দিতে হবে যে, নির্বাচন পর্যন্ত আর কোনো সহিংসতামূলক কার্যকলাপ তিনি করবেন না।
পুলিশ মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত চারজনকে আটক করলেও লতিফের অন্য দাবিগুলোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। কর্মী সমর্থকরা শুরুতে লতিফ সিদ্দিকীর জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে তাঁবু খাটিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার ভোরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বারান্দায় নেওয়া হয়। ওষুধ না খাওয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
এ অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে আট সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় লতিফ সিদ্দিকীর জন্য।




Discussion about this post