একাত্তরে খান সেনাদের হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার ক্যাপ্টেন (অব.) মো. শহিদুল্লাহর জামিন না মঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) আসামিপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে এবং বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, আবুল কালাম।
মাসুদ রানা জানান, আসামি শহিদুল্লাহ একজন প্যারালাইজড রোগী। তিনি নিজের হাতে কিছু খেতে পারেন না, বিছানায় শুয়ে থাকেন। এছাড়া গত আট বছর ধরে অন্যের সাহায্য নিয়ে তাকে চলাফেরা করতে হয়।
এসব কারণ দেখিয়ে আসামির জামিন আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা না মঞ্জুর করে হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসিকিউটর আবুল কালাম বলেন, শহিদুল্লাহ একাত্তরে পাকিস্তান আর্মির একজন সদস্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, আটক, নির্যাতনসহ যুদ্ধাপরাধের বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার শহিদুল্লাহর পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে প্রসিকিউশন থেকে বিরোধীতা করা হয়। যে কারণে জামিন না মঞ্জুর করে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১ আগস্ট পাকিস্তান আর্মির সদস্য যুদ্ধাপরাধী শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন। সেদিনই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরের দিন ২ আগস্ট কুমিল্লার দাউদকান্দির নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।




Discussion about this post