ছাত্রীকে চুলের মুঠি ধরে হিঁচড়ে নিয়ে পানিতে নিক্ষেপ করলেন শিক্ষক

অনেকক্ষণ সাঁতার কাটার পর জল মুছে চুল বেঁধে ফেলিছেল কিশোরী মেয়েটি। আকুতি ছিল, সে চুল বেঁধে ফেলেছে। তাই আর সাঁতার কাটতে তার ইচ্ছে করছে না। তাহলে চুল নষ্ট হয়ে যাবে। কে কার কথা শোনে! ক্যালিফোর্নিয়ার এডিসন হাইস্কুলের জিমের বদমেজাজি প্রশিক্ষক ডেনি পিটারসন ছোট্ট মেয়েটিকে প্রথমে এক দুবার নির্দেশ দেন, জলে নামার।

মেয়েটি স্যারের এই নির্দেশ মানেনি। কিন্তু পরিণাম যে এত নৃশংস হতে চলেছে, বুঝতে পারেনি। ঘর থেকে টেনে মেয়েটিকে বের করেন জিমের প্রশিক্ষক। তারপর মেয়েটির শখের বাঁধা চুলের মুঠি ধরে বেদম মারতে হিঁচড়ে টেনে আনেন সুইমিংপুলের ধারে। টেনে খুলে দেন মেয়েটির পোশাক। অন্তর্বাস পরে কোনো ক্রমে লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করতে থাকে মেয়েটি।

মেয়েটির বয়স বছর চোদ্দ। লজ্জা বাঁচাতে চিৎকার করে কাঁদছে মেয়েটি। হাতে-পায়ে ধরছে জিম ট্রেইনারের। জিমের প্রশিক্ষক মধ্যবয়সী এক পুরুষ। মেয়েটির চুলের মুঠি ধরে হিঁচড়ে নিয়ে আসছে। জিমের প্রশিক্ষক সেই অবস্থাতেই বেদম লাথি মারতে শুরু করে দেন।

অন্তর্বাসটি টেনে খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সুইমিং পুলের আশেপাশের লোকেরা বেশ উপভোগ করছেন সেই দৃশ্য। হাড়হিম করা এই ভিডিওটি-ই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে মার্কিন মুলুকে। তুমুল সমালোচনার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে। ঘটনার পরের দিন থেকেই লম্বা ছুটি নিয়ে নিয়েছেন জিমের প্রশিক্ষক।

উপস্থিত অন্য মেয়েরাও শিক্ষককে সাহায্য করতে থাকেন তাকে পানিতে নামাতে। আশেপাশের অন্যান্য ছেলেমেয়ে ও তাদের অভিভাবকদের হাসি তখন ধরছে না! সেই অত্যাচারের ফলে সারা গায়ে কালসিটে ও পায়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে কিশোরী মেয়েটির।

ঘটনাটি ঘটেছিল অগস্টে। সম্প্রতি সেদিনের ঘটনার ভিডিওটি হাতে পেয়েছেন নির্যাতিত কিশোরীর মা-বাবা। ভিডিওটিতে অত্যাচারের নৃশংসতা দেখে কিশোরীর মা গিলবার্ট সোমেরার বক্তব্য, এই ভাবে একটা স্কুলে পড়া বাচ্চা মেয়েকে কোনো শিক্ষক অত্যাচার করতে পারেন, তিনি ভাবতে পারছেন না। জিম প্রশিক্ষক পিটারসনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তারা। আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন। যদিও সেই ঘটনার দিন থেকেই লম্বা ছুটিতে চলে যান পিটারসন।

তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল