ডেস্ক রিপোর্ট
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় (পিলখানা হত্যা মামলায়) হাইকোর্টের রায়ে যে সকল আসামির সাজা কমেছিল সেসব আসামির সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় চার আসামির সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এই আপিল আবেদন করা হয়।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ মামলায় ১৫২ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দেন বিচারিক আদালত। তাদের একজন ছাড়া সবাই তৎকালীন বিডিআরের সদস্য। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় ১৬১ জনকে। সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পান আরও ২৫৬ জন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান ২৭৮ জন আসামি। সাজা হয় মোট ৫৬৮ জনের।

এই হত্যার ঘটনায় বিচারিক (নিম্ন) আদালতের রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি নিয়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছিলেন হাইকোর্ট। যে রায়ে বিচারিক আদালত ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।গত ১৩ জানুয়ারি পিলখানা হত্যা মামলায় পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। ওই দিন হাইকর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের তিন বিচারপতির স্বাক্ষরের পার পূর্ণাঙ্গ রায়টি সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে প্রকাশ করা হয়। দেশের ইতিহাসে এই মামলার আসামির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর রায়ের পৃষ্ঠার সংখ্যার দিক থেকেও এটি সবচেয়ে বড় রায়।
পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর দেয়া রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া যাবজ্জীবন দেয়া হয় ১৮৫ জনকে। আর ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে এবং খালাস পেয়েছেন ৪৫ জন।২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহের নামে পিলখানায় বিডিআর সদরদফতরে ঘটেছিল এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। বিচারের মুখোমুখি করা হয় ৮৪৬ বিডিআর জওয়ানকে। মামলার অন্য চার আসামি বিচার চলাকালে মারা যান।
Discussion about this post