বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পুলিশ ক্যাডারে আপেক্ষিক অলিখিত ধারণাগত জ্যেষ্ঠতার প্রচলন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া রুলে বিভাগীয় পদোন্নতি পাওয়া পুলিশের সাত সহকারি কমিশনারের ধারণাগত জ্যেষ্ঠতা দিয়ে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।<br /> আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে জনপ্রশাসন সচিব, পিএসসি চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি এ আদেশ দেন।<br /> ধারণাগত জ্যেষ্ঠতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন ২৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডার সার্ভিসের সভাপতি সহকারি পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাতসহ ৬০ কর্মকর্তা। আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট মোকাররামুছ-সাকলান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে।<br /> আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোকাররামুছ-সাকলান সাংবাদিকদের বলেন, ক্যাডার সার্ভিসে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস সিনিয়রিটি রুলস-১৯৮৩ অনুসরণ করতে হয়। যে প্রক্রিয়ায় বিভাগীয় পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জ্যেষ্ঠতার সনদ নিয়ে সার্ভিস বুকে যুক্ত করছেন তা সংবিধানের ২৯, ১৩৩ ও ১১১ অনুচ্ছেদকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ধরনের সনদ নেওয়ার ঘটনায় আদালত রুল জারি করেছে বলে জানান তিনি।</p>




Discussion about this post