রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মো. মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে করা তিন মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
জামিনের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা।মামলায় উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ছাড়াও আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- আহমেদ সাজ্জাদ খান, মোহাম্মদ তাহাজ্জুদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক খান, আমিনুল ইসলাম, ঠিকাদার আসিফ হোসেন ও শাহাদাত হোসেন।

এর আগে, বালিশকাণ্ডের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে দুদক।প্রসঙ্গত, রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মাণাধীন গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও ভবনে উত্তোলন কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে ২০১৯ সালের ১৯ মে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
দুর্নীতির নমুনা তুলে ধরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে, বালিশের দাম ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা, আর সেই বালিশ ফ্ল্যাটে ওঠানোর খরচ ৭৬০ টাকা দেখানো হয়েছে। একইভাবে টেলিভিশন, খাট, রেফ্রিজারেটর, বৈদ্যুতিক চুলা, বৈদ্যুতিক কেটলি, রুম পরিষ্কারের মেশিন, ইলেকট্রিক আয়রন, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি কেনাকাটা ও ভবনে তুলতে অস্বাভাবিক খরচ দেখানো হয়।’
Discussion about this post