বিডি ল নিউজঃ

প্রত্যেকের প্রেমিক ছিল। গ্রামের লোকের কটুকথা আর পরিবারের সদস্যদের বকাবকির জেরেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদেনীপুরের ছয় কিশোরী এক সঙ্গে কীটনাশক খেয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে দাবি পুলিশের। সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামের কাছে বড়পুকুর পাড়ে একসঙ্গে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ওই ছয় কিশোরী কীটনাশক খায়। রাতেই মারা যায় নমিতা নায়েক (১৭), পালং নায়েক (১৬), সরস্বতী নায়েক (১৫), বুড়ু নায়েক (১৪) ও বেবি নায়েক (১৩)। প্রাণে বেঁচে গিয়েছে পূজা নায়েক (১৫)।
প্রেমে বাধা পেয়ে যুগলের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা বিরল নয়। তবে ছয় বান্ধবী এক সঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে, এমন ঘটনা কেউই মনে করতে পারছেন না।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, ছয়জনেরই বয়স কম। অভিভাবকেরা ওদের শাসন করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তদন্তে বাকি সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের দাবি, পূজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, তাদের সকলেরই প্রেমিক ছিল। শিবরাত্রির মেলায় তারা দেখাও করেছিল। গ্রামের কিছু লোক তা দেখে বাড়িতে খবর দেয়। তারপর থেকে অশান্তির শুরু। অভিভাবকেরা তাদের বকাবকি করেন। জানিয়ে দেন, এই সব সম্পর্কে তাঁদের সম্মতি নেই।
পূজা আরও বলেন, ওরা আমাদের নিয়ে পালাতে চেয়েছিল। রাজি হইনি। পুলিশের দাবি, তাদের কারও প্রেমই পরিণতি পাবে না মনে করে ছয়জন নিজেদের শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় বলে পূজা জানিয়েছে।
পুলিশের ধারণা, আগে থেকেই আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিল ছয় বান্ধবী। কয়েক দিন আগে প্লাস্টিকের বাটি সংগ্রহ করে তারা। সোমবার সন্ধ্যায় সেই বাটিতেই কীটনাশক ঢেলে সকলে মিলে একসঙ্গে চুমুক দেয়। সঙ্গে ছিল মুখরোচক নোনতা। আত্মহত্যার আগে ওড়নার ফাঁস দিয়ে পরস্পরের হাতও বেঁধে নিয়েছিল ছয় বান্ধবী। পূজা অবশ্য বিষের বাটি শেষ না করেই পালিয়ে আসে। তাই সে বেঁচে গিয়েছে। রাতে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে বাকি পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। সোমবার গভীর রাতে পূজাকে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিকেলে। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রামে আসে পাঁচ কন্যার মরদেহ।




Discussion about this post