একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ সব হত্যাকাণ্ডের বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আমির মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম।
বুধবার (১১ মে) নগরীর চকবাজার প্যারেড মাঠে নিজামীর গায়েবানা জানাজার আগে সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
তার অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই নিজামীকে মিথ্যা অভিযোগে সরকার হত্যা করেছে।
তিনি বৃহস্পতিবার (১২ মে) দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সফল করারও আহ্বান জানান।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির মুহাম্মদ জাফর সাদেক, উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সম্পাদক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা আমির অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, চট্টগ্রাম মহানগরী সহকারী সম্পাদক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন ও অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, নগর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ, নগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, নগর উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, নগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ শোয়াইব প্রমুখ।
জানাজাকে ঘিরে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা চট্টগ্রাম কলেজ হোস্টেলের গেট, শিক্ষক ও পুলিশের মোটরসাইকেল, রাস্তায় চলাচলরত বিপুলসংখ্যক কার, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা ভাঙচুর করে। বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশ শর্টগানের সাত-আট রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় মূল গেট দিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে শিবিরের নেতা-কর্মীদের প্যারেড মাঠে নিয়ে আসে। পরে তারা উত্তর গেট দিয়ে চকবাজারের দিকে চলে যায়।




Discussion about this post