নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ণ পাওয়া গেছে। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সোহেল মাহমুদ।
ময়নাতদন্তের পর সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা পৌনে ২টার দিকে তিনি এই সব কথা জানান।
রবিবার রাত ৩টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের ২য় তলা থেকে আবরার ফাহাদ (২১) নামে এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। নিহত আবরার ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে।
নিহত ফাহাদের সহপাঠীরা বলছেন, রাত আটটার দিকে শের-ই বাংলা হলের ১ হাজার ১১ নম্বর কক্ষ থেকে কয়েকজন ফাহাদকে ডেকে নিয়ে গেলে রাত দুইটা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের ধারণা, ২ হাজার ১১ নম্বর রুমে নিয়ে ফাহাদকে পেটানো হয়। পরে শেরেবাংলা হলের একতলা ও দুই তলার মাঝখানের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা গেছে। শিক্ষার্থীদের ধারণা ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল এবং সহ-সভাপতি ফুয়াদকে আটক করেছ পুলিশ।
চকবাজার থানার ওসি সোহরাব হোসেন বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ফাহাদের মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেল এবং ফুয়াদকে আটক করা হয়েছে। তারা দুইজনই বুয়েট শিক্ষার্থী। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।




Discussion about this post