জঙ্গি সংগঠনের অর্থ লেনদেনে ফেঁসে যাচ্ছে রাষ্টায়ত্ব সোনালী, বেসরকারি খাতের ডাচ বাংলা ও এক্সিম ব্যাংক লিমিডেট। জঙ্গি সংগঠনকে অর্থ সহায়তা প্রদানের অভিযোগে গ্রেফতার তিন আইনজীবী এসব ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মাধ্যমে হিসাব ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, জঙ্গি অর্থায়নে এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শিগগিরই চিঠি দেয়া হবে ব্যাংক তিনটির প্রধান নির্বাহীদের। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা (৩৯), অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান লিটন (৩০) ও অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপন (২৫)।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রোববার রাতে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, তিন আইনজীবী সোনালী, ডাচ বাংলা ও এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেছেন। তাই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শিগগিরই চিঠি পাঠাবো। প্রয়োজনে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে।
অভিযোগ প্রমাণিত হলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, প্রয়োজনে জরিমানা করা হবে ব্যাংকগুলোকে। প্রধান নির্বাহীদেরও জরিমানা করা হতে পারে। এছাড়া চাকরিচ্যুত করার বিধান তো রয়েছেই। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এসব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, জঙ্গি অর্থায়নে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স দেখাবে। এখানে কোনো ধরনের ছাড়া দেয়া হবে না।
জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে এই তিন আইনজীবীকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব দাবি করে, ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’ নামের চট্টগ্রামভিত্তিক নতুন জঙ্গি সংগঠনের জন্য সংগৃহীত এক কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে গ্রেফতার হওয়া তিন আইনজীবী এক কোটি আট লাখ টাকার যোগান দিয়েছেন।
এর মধ্যে শাকিলা দুই দফায় ২৫ লাখ ও ২৭ লাখ করে মোট ৫২ লাখ টাকা, মো. হাছানুজ্জামান ৩১ লাখ টাকা এবং মাহফুজ চৌধুরী ২৫ লাখ টাকা দিয়েছেন।
Discussion about this post