ফেনীর সোনাগাজী এলাকার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বয়স বেশি দেখিয়ে বিয়ে নিবন্ধন করায় পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী সিরাজুল ইসলাম মজুমদারের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে জেলা (নিকাহ নিবন্ধক) রেজিস্টারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তলবে হাজির নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজি সিরাজুল ইসলাম মজুমদার উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার পরে শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী। তিনি আদালতের আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
ফেনীর সোনাগাজী এলাকার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বয়স বেশি দেখিয়ে বিয়ে নিবন্ধন করায় পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী সিরাজুল ইসলাম মজুমদারকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আজ ১৬ মার্চ কাজীকে ওই বিয়ে সংক্রান্ত সব কাগজপত্র ও রেজিস্ট্রার বইসহ হাজির হতে বলা হয়েছিল। তিনি উপস্থিত হয়ে বিয়ে পড়ানোর ঘটনায় ভুল স্বীকার করে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। পরে আদালতের রেজিস্ট্রারকে তদন্ত করার জন্যে এ আদেশ দেন।
তিনি জানান, এ সংক্রান্ত এক মামলায় আসামির জামিন শুনানিতে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ওইদিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ ইমরান আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
মামলার বরাত দিয়ে সরোয়ার হোসেন বাপ্পী জানিয়েছিলেন, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আলমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জাভেদ একই উপজেলার বগদানা গ্রামের আব্দুল মান্নানের কিশোরী মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলামকে আসামি করে ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর সোনাগাজী মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন কিশোরীর বাবা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা ওই মামলায় জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলাটি বর্তমানে ফেনীর চিফ জুডিসিয়াল আদালতে বিচারাধীন।
নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন আসামি। জামিন শুনানিকালে কিশোরী মেয়ের বিয়ে পড়ানোর বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সেইসঙ্গে এই বিয়ের কাজি সিরাজুল ইসলাম মজুমদারকে তলব করেন।
Discussion about this post