বিডি ল নিউজঃ

জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে ফের গঠনমূলক সংলাপের তাগিদ দেয়া হয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও অন্যান্য অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে কিনা তাও উঠে আসে।
জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে শুক্রবার মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ সময় ডুজাররিক বলেন, যারা ক্ষমতায় নেই তারাই বিরোধী দল।
ওই ব্রিফিংয়ের বাংলাদেশ অংশ এখানে প্রশ্ন-উত্তর আকারে তা তুলে ধরা হলো :
প্রশ্ন: আমি আপনার কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাই। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ নিয়ে আমি বিবৃতি পড়েছি। তাতে দেখতে পেয়েছি, বিরোধীদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার নির্দেশনা দিয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারের প্রতি। বাংলাদেশের মিডিয়ায়ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। আমি জানতে চাই, এর অর্থ কি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করা? তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও অন্য যেসব অভিযোগ আছে তা প্রত্যাহার করা? ২০১৩ সালে মে মাসে ও বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনির্দিষ্ট কিছু তালিকাভুক্ত কর্মকর্তা, যাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আছে, তারা এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে নিয়োজিত। এর অর্থ হলো বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বিভিন্ন মিশনে ওই সব ব্যক্তি দায়িত্বরত। আমি জানতে চাই, এখন অথবা পরে, পিসকিপিং বা শান্তিরক্ষা (মিশন) বাংলাদেশের ওই সব সেনা কর্মকর্তার বিষয়ে কি পর্যবেক্ষণ নিয়েছে।
উত্তর: শান্তিরক্ষা নিয়ে আমার কাছে এখন কোন তথ্য নেই। আমার জানা মতে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সঙ্গে মহাসচিব বান কি মুনের যে বৈঠক হয়েছে এবং আমরা যে চিঠি পাঠিয়েছি, তাতে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা ও দেশের উন্নয়নের জন্য বিরোধীদের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপের তাগিদ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত করতে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন: সাধারণত তাই বোঝায়।
উত্তর: ঠিক।
প্রশ্ন: হতে পারে…।
উত্তর: বিরোধীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা বলতে আমার মনে হয়, সাধারণ সংজ্ঞা অনুসারে, যারা ক্ষমতায় নেই তারাই বিরোধী দল।




Discussion about this post