
চোখের পানি তো আল্লাহর জন্য- কথা টা বলেছেন আমার শ্রদ্ধেয় পিতা, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। যিনি তার পুরো জীবন কাটালেন এই দেশের কল্যাণ কামনায়, ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজে। ব্যক্তি চাহিদা, ক্যারিয়ার, সম্পদ সব কিছুর উপর আল্লাহ ও তার দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে কীভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন তার সাক্ষী যারা উনাকে চিনেন ও আশেপাশে ছিলেন। পরিবারের লোক বা সন্তান হিসাবে হয়ত সবাই তার কাছের মানুষদের প্রশংসা করে থাকে। কিন্তু এ বেপারে শুধু আমি না, পৃথিবীর যে স্থানেই উনি গিয়েছেন বা যারাই উনাকে চিনেন, সবাই তাকে ভাল মানুষ হিসাবেই চিনেন। এমন কি যারা আজকে শত্রুতা করছে তারাও এ ব্যাপারে একমত হবেন, শুধু আদর্শিক শত্রুতা ছাড়া কেউ একটি কটুবাক্য কখনই তার ব্যাপারে বলেনি। এই ভাল মানুষটি আজ চরম জুলুমের শিকার। কি ছিল তার অপরাধ? আল কুরআনের ভাষা মতে,
ওই ঈমানদারদের সাথে তাদের শত্রুতার এছাড়া আর কোন কারণ ছিল না যে, তারা সেই আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিল “(সুরা আল-বুরুজঃ ৮)
প্রতিদিন আমরা মুক্ত পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াচ্ছি, অথচ আজ প্রায় ছয় বছর আমাদের প্রান প্রিয় আব্বু অবরুদ্ধ। যখনই এ কথা মনে হয়, তখন আর সবকিছুই অর্থ হীন হয়ে পরে। মুহূর্তেই থমকে যায় সব। কিন্তু বাস্তবতা এতো নির্মম যে সব কিছুই চালাতে হয় স্বাভাবিক নিয়মে।
আলহামদুলিল্লাহ্, ইসলামি আন্দলনের সাথে আছি বলেই হয় তো একবার মনে হওয়া অর্থহীন এই পৃথিবীকেও আবার অর্থবহ মনে হয়। স্বাভাবিক করে নেই জীবন কে, আর কুরআনের পাতায় পাতায় খুজে পাই শান্তনা।
“প্রকৃত কথা এই যে, সংকীর্ণতার সাথে প্রশস্ততাও রয়েছে।” (সুরা আলাম নাশ্ রাঃ ৫)
এই দিনে, কোন মানুষের কাছে নয়, আমাদের ফরিয়াদ সেই সর্ব শক্তিমান আল্লাহর কাছে যিনি সারা জাহানের রব। হে আল্লাহ্ আমাদের কে সার্বক্ষণিক তোমার রহমত দ্বারা আবৃত রাখো। তুমি যেভাবে সন্তুষ্ট, আমরাও সেভাবে সন্তুষ্ট থাকব ইনশাআল্লাহ। তুমি আমাদের জন্য সব সহজ করে দাও। ইয়া মালিকুল কুদ্দুস, আমরা তোমার দেয়া প্রশস্ততার অপেক্ষায়ে ।
লিখেছেনঃ ফাতিমা মোহসীনা (নিজামীর মেয়ে
Discussion about this post