শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রথমে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের কথা বলায় অনেকেই পাগলের প্রলাপ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। কিন্তু এখন দেশে সাড়ে ২৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ রয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কোনো বিকল্প নেই। আর তাই আমরা চিন্তা করছি ছাপা পাঠ্যবইয়ের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের হাতে ট্যাব তুলে দেবো। এসব ট্যাবে পাঠ্যবই ডাউনলোড করে দেওয়া হবে।
এ বছরই সবার হাতে ট্যাব তুলে দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। তবে ভবিষ্যতে যাতে দেওয়া যায় সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বইয়ের গুরুত্বের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হলেও তা আগে জানতে হবে। না জানলে তো প্রযুক্তি ব্যবহারই করতে পারবে না।
বইমেলার উদ্যোগ নেওয়ায় উত্তরা ইউনিভার্সিটির প্রশংসা করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তরা ইউনিভার্সিটির মতো অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বইমেলার বিষয়ে নজর দিতে পারে। এতে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার আগ্রহ বাড়বে। বই মানে তো এই না যে, ফেব্রুয়ারি এলেই গোটা চারেক বই কিনলাম। বই সব সময়ের জন্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ফোকলোরবিদ অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
সাতদিনব্যাপী এ বইমেলা চলবে আগামী ১৩ জুন পর্যন্ত।




Discussion about this post