নিজস্ব প্রতিবেদক: অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কথা বলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ফিরিয়ে আনার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করার প্রত্যয় জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কোরআন তেলাওয়াত করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দল ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা-নেত্রী, পেশাজীবী ও সাধারণ মানুষ।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবনের ভেতরে যান এবং সেখানে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
সকাল সোয়া ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
সকাল ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু মাজার প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, পুষ্পস্তবক অর্পণ, সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক গার্ড অব অনার ও মোনাজাতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১১টার দিকে সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে বিশেষ দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন। দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসবেন।
বাদ আছর বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হচ্ছে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোয়ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এছাড়া দেশের সব সরকারি হাসপাতালে দিবসটি উপলক্ষে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আজ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হচ্ছে। এছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
Discussion about this post