নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানির জন্য ২ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার রাজধানীর বকশিবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরানের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার আসামি খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, কারাকর্তৃপক্ষ অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এই কারণে তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু চার্জ শুনানির সময় আসামির উপস্থিতিতে হতে হয়, তাই বেগম খালেদাকে অনুপস্থিতে এদিন চার্জ শুনানি সম্ভব নয়।
বিচারক এ নিয়ে দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য জানাতে চাইলে তিনি সহমত প্রকাশ করেন। শুনানি শেষ হওয়ার পর আদালত চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২ মে ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গত ১ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করে।
প্রসঙ্গত, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগের অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতিসহ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
Discussion about this post