নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীতে ইট দিয়ে মাথা থেতলিয়ে আল আমিন হোসেন মুন্না নামের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এরই মধ্যে অভিযুক্ত বখাটে সিজানকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ বনশ্রীর ১২/৪ নম্বর বাসার ছাদ থেকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশু আল আমিনকে। এ সময় তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিলো।
এলাকাবাসী জানায়, এদিন বিকেলে মুন্নাকে ডেকে নিয়ে যায় একই এলাকার বখাটে সিজান। পূর্ব বিরোধের জেরে সে মুন্নার মাথা ইট দিয়ে থেতলে দেয়। শিশু মুন্নাকে রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মুন্না সাতক্ষীরার দোহাট্টা উপজেলার আল মামুনের ছেলে। সে খিলগাঁও মেরাদিয়া পোড়াবাড়ি এলাকায় পরিবারের সাথে থাকতো। স্থানীয় আল রায়হান আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো সে। আর অভিযুক্ত সিজান একই এলাকায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতো। এরই মধ্যে ওই বখাটেকে আটক করেছে পুলিশ।
খিলগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, নিহত মুন্নার সঙ্গে ১০-১২ দিন আগে এলাকার সিজান (১২) নামে এক শিশুর মারামারি হয়। এর জের ধরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে স্থানীয় হাশেম মোল্লার নির্মাণাধীন বাড়িতে মুন্নাকে ডেকে নেয় সিজান। অভিযুক্ত বখাটে সিজানের মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, মুন্নার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়। বাবার নাম আল মামুন। মুন্না স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল। সে বাবা-মায়ের সঙ্গে খিলগাঁওয়ের ৪৩/৩ মেরাদিয়া পোড়াবাড়ি এলাকায় থাকত।
Discussion about this post