বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনায় দিনেদুপুরে স্ত্রীর সামনেই চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে স্বামী রিফাত শরীফকে। সন্ত্রাসীরা জনম্মুখে ধারালো অস্ত্র নিয়ে রিফাতের উপর হামলা করে। এ সময় সঙ্গে থাকা স্ত্রী হামলাকারীদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও শেষমেষ কোন লাভই হয়নি। সন্ত্রাসীরা রিফাতকে কুপিয়ে চলে যায়। এই হত্যায় জড়িতের অভিযোগে মামলার চার নম্বর আসামি চন্দনকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা সদর থানায় এই মামলা করেনরিফাতের বাবা দুলাল শরীফ। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নয়নকে।
বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুধবার রাতে চন্দনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিফাত শরীফ সকালে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে কলেজে নিয়ে যান। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরো দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়।
রিফাত শরিফকে এলোপাতাড়ি কোপানোর সময় তার স্ত্রী সন্ত্রাসীদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। একা এত জনের সাথে পেরে উঠছিলেন না আয়েশা। তবুও স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা। উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কি করা উচিত। টিখ সেই মুহূর্তে সন্ত্রাসীরা স্থান ছেড়ে করে চলে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রথমে তাঁকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।
Discussion about this post