বিডি ল নিউজঃ প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ লিখেছেন টুইটারে।
ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় মোদীর টুইটারের প্রতিক্রিয়ায় তার ফলোয়ারদের অনেকেই এই সফরের সাফল্য কামনা করেছেন।
শনিবার সকালে নয়া দিল্লি ছাড়ার আগে মোদী টুইটারে লিখেছেন, “বাংলাদেশে রওনা হচ্ছি। এই সফর দুই জাতির পারস্পরিক বন্ধন আরও মজবুত করতে যাচ্ছে। এতে শুধু দুই দেশের জনগণই নয়, এই অঞ্চলের সবাই উপকৃত হবে।”
এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সফরে শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামবেন মোদী।
তিনি এরই মধ্যে সফরসঙ্গীদের নিয়ে নয়া দিল্লি ছেড়েছেন বলে ভারতের সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে।
শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে তিনি সরাসরি যাবেন সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখান থেকে রাজধানীতে ফিরে তিনি বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে গিয়ে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তারপর যাবেন হোটেল সোনারগাঁওয়ে।
হোটেলে মধ্যাহ্ন ভোজের পর বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকে কয়েকটি চুক্তি এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তর হবে। তবে এই দফায়ও তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না।
চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে একদিন আগেই ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের বাংলাদেশ লাগোয়া রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চার বছর আগে মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় ‘ডুবোচরে’ আটকে যাওয়া তিস্তা চুক্তির জট না খুললেও ‘গণ্ডির বাইরে গিয়ে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খোলার’ আশা জাগিয়ে ঢাকায় পা রাখতে যাচ্ছেন মোদী।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করের ভাষায়, ‘ব্যতিক্রমী প্রতিবেশী’ বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদীর এই সফর হবে ‘ঐতিহাসিক’।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টারমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। গার্ড অব অনারে তাকে জানানো হবে রাষ্ট্রীয় সম্মান।
সফরের দ্বিতীয় দিন রোববার সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশনে যাবেন মোদী। এরপর তিনি বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সেরির উদ্বোধন করবেন। দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে।
সেখানে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে অটল বিহারি বাজপাইর পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্মাননা গ্রহণ করবেন বিজেপির এই নেতা। এরপর বঙ্গভবনে যোগ দেবেন মধ্যাহ্ন ভোজে।
দুপুরের পর সোনারগাঁও হোটেলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ দেবেন মোদী।
ঢাকা ছাড়ার আগে শেষ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে বক্তৃতা দেবেন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, যা নিয়ে তরুণদের মধ্যে ইতোমধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।




Discussion about this post