
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ, ইনু) সাবেক কার্যকরী পরিষদের সভাপতি মাঈনুদ্দিন খান বাদলের এমপি পদ (চট্টগ্রাম-৮) অবৈধ ও বেআইনী দাবি করে তা শূন্য ঘোষণার জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার চট্টগ্রামের শেখ শহীদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লায়েকুজ্জামান মোল্লা লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছেন।
নোটিশটি সকালে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, মাঈনুদ্দিন খান বাদল এবং তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল ইনুকেও পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, মাঈনুদ্দিন খান বাদল এখন জাসদের বাইরে। তিনি এখন সরকারের সঙ্গে থাকা ১৪ দলেরও বাইরে রয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী তার এখন কোনও নির্দিষ্ট কোনো প্রতীকও নেই। এছাড়া মাঈনুদ্দিন খান বাদল আগে যে প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেই প্রতীকের দলের সঙ্গে যেহেতু তিনি নেই, তাই এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা দরকার। সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের ব্যবস্থা করাও জরুরি।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, নোটিশ গ্রহীতাদের মধ্যে মঈনউদ্দিন খান বাদল জাতীয় সংসদের আসন নং-২৮৫, চট্টগ্রাম ৮ থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের দল জাসদ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন।
তবে গত ১২ মার্চ জাসদের জাতীয় কাউন্সিলে জাসদ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। যার একাংশের নেতৃত্বে আসেন হাসানুল হক ইনু এবং অপর অংশে রয়েছেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া। আর শরীফ নুরুল আম্বিয়া অংশের কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন বাদল। এরপর দলীয় প্রতীক মশাল প্রাপ্তি প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনে শুনানি হয়। যেখানে ইনুর অংশ মশাল প্রতীক বরাদ্দ পান।
এ অবস্থায় বাদলের জন্য জাসদ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য পদে থাকা অবৈধ, বেআইনী ও সংবিধান বিরোধী। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চট্টগ্রাম-৮ আসন শূন্য ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
Discussion about this post