বাসর রাতেই স্বামীর সঙ্গে বিবাদ হয়। এরপর থেকে নিয়মিত ঝগড়া হতো। এমনকি দফায় দফায় হাতাহাতিও হয়েছে। অবশেষে বিয়ের চারদিন পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করি। এরপর নিজেই লাশ টেনে হিঁচড়ে গলিতে ফেলে দেই।
বুধবার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাহেদুল করিমের আদালতে আদালতে এমনই স্বীকারোক্তি দিলেন রোশন বেগম নামের এক নববধু। স্বীকারোক্তির পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রোশন বেগম বলেন, ‘বিয়ের রাত থেকেই স্বামী রাসেলের সাথে তার বনিবনা হয়নি। রাসেল তাকে গালিগালাজ করতেন। এমনকি মাকে তুলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন।’
রোশন জানান, সোমবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে রাসেলের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ধরেন রোশন। কিছুক্ষণ পর রাসেল নিস্তেজ হয়ে ঢলে পড়েন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সিলেট নগরীর বাগবাড়ির নরশিংটিলা ১২৯নং বাসার বাসিন্দা রাসেল আহমদের সঙ্গে বিয়ে হয় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মণ্ডলপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার মেয়ে রোশন বেগমের।
বিয়ের চারদিন পর মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশের গলি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। শুরু থেকেই পুলিশের সন্দেহ হয় স্ত্রী রোশন বেগমের প্রতি। আটক করে নিয়ে যায় থানায়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রোশন পুলিশের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করেন।
এদিকে রাসেল আহমদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার ভাই সেলিম আহমদ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৬ (১১-১১-১৫)। ওই মামলায় রোশনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।




Discussion about this post