নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কাজী আবদুল হাসিব মোহাম্মদ সাঈদ হত্যা মামলায় দ্বিতীয় স্ত্রী সানজিদা আহমেদ মিশুসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে সিআইডি।<br /> এর আগে গত মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক কাজল কান্তি চৌধুরী নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) নিমলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তীর হাতে এ অভিযোগপত্র হস্তান্তর করেন। নিয়মানুযায়ী তিনি অভিযোগপত্রটি সিলগালা করে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে করবেন।<br /> প্রথমদিকে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও দ্বিতীয় দফার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও সিআইডির অধিকতর তদন্তে উঠে এসেছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথম ময়নাতদন্তে আত্মহত্যা বলা হলেও ঘটনার প্রায় ১৪ মাস পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মিশুর দ্বিতীয় স্ত্রীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।<br /> সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজল কান্তি চৌধুরী বলেন, ‘বিচারক সাঈদ হত্যা মামলার চূড়ান্ত অভিযোগত্রে আসামি করা হয়েছে বিচাকের দ্বিতীয় স্ত্রী সানজিদা আহমেদ মিশু, মিশুর মা লাকী আকতার, ভাই ইমরান, বাবা নাছির উদ্দিন ও কাজের বুয়া রীমা আক্তার। সাক্ষী রাখা হয়েছে ৪৮ জনকে। মামলার তদন্তে এটি আত্মহত্যা নয়, তাকে খুনই করা হয়েছে।<br /> প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর হালিশহরের মোল্লাপাড়ার একটি বাসা রহস্যজনকভাবে গুরুতর আহত হন বিচারক সাঈদ। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তার দ্বিতীয় স্ত্রী সানজিদা আহমেদ মিশু ও মিশুর মা লাকী আকতার। হাসপাতালে নেয়ার পরপরই কর্তব্যরত ডাক্তার সাঈদকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল থেকেই আটক করা হয় সানজিদা ও লাকীকে। ওইদিন রাতেই হালিশহরের মোল্লাপাড়ার বাসা থেকে আটক করা হয় মিশুর ভাই ইমরান ও বিচারকের বাসার কাজের বুয়া রীমা আক্তারকে।<br /> ঘটনার পর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন হালিশহর থানার এসআই মোহাম্মদ মুকুল মিয়া। পরদিন (১৭ সেপ্টম্বর) বিচারক সাঈদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। বিচারকের মাথায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় এসআই মুকুল মিয়া বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে হালিশহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এখনো পলাতক রয়েছেন মিশুর বাবা নাছির উদ্দিন।</p>



Discussion about this post