সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন আইন ও বিচারাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চালু করতে যাচ্ছে প্রধান বিচারপতি পুরস্কার’। আইন, বিচার, মানবাধিকার বিশেষ অবদান রেখেছে এমন কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান, বিচারক বা সমপর্যায়ের ব্যক্তিরা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবেন।<br /> সূত্র জানায়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা, আইনের উন্নয়ন ও সংরক্ষণকারী সংস্থা, উচ্চ ও নিম্ন বিচারিক আদালতের কর্মকর্তাদের অবদানকে আরো গতিশীল করার চিন্তা-ভাবনা থেকেই এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।<br /> সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ইতোমধ্যে ;প্রধান বিচারপতি পুরস্কার নীতিমালা-২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার ঘোষণার জন্য একটি বাছাই কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আরো কিছু বিষয় সংযোজন বিয়োজন করে তা ঘোষণা করা হবে।<br /> তিনি আরো বলেন, বিচারাঙ্গনে বিচারকসহ বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের অবদানের মূল্যায়ন, উচ্চ আদালত এবং নিম্ন আদালতের বিচারকদের মামলা নিষ্পত্তির গতি, দক্ষতা, যোগ্যতা, মেধা, সততা ইত্যাদি বিষয়ের মূল্যায়ন করতে এবং এসব ক্ষেত্রে উৎসাহ বাড়াতে প্রধান বিচারপতি এ ধরনের পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।<br /> প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রধান বিচারপতির সম্মতিক্রমে পুরস্কারটি প্রদান করা হবে। পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত ১০ গ্রাম ওজনের পদক প্রদান করা হবে। এর আর্থিক মূল্যমান হবে ২৫ হাজার টাকা। প্রতিবছর সর্বোচ্চ সাতটি পুরস্কার দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে প্রধান বিচারপতি ইচ্ছে করলে পুরস্কার প্রাপকের সংখ্যা কমানো বা বাড়ানো হতে পারে। এছাড়া পদকের সঙ্গে স্মারক এবং সম্মাননাও দেয়া হবে। পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা নির্বাচনের জন্য প্রতিবছরই প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতিকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠন করা হবে।<br /> কমিটির অন্য সদস্য হিসেবে থাকবেন-প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের দুজন বিচারপতি ও পদাধিকারবলে অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল (পদাধিকার বলে)। এই কমিটিকে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রধান বিচারপতির কাছে পেশ করতে হবে। এরপর কমিটির সুপারিশকৃত ওই তালিকা থেকে পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হবে। প্রতিবছর ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনো দিন এই পুরস্কার দেয়া হতে পারে।<br /> বিচারাঙ্গণে কাজ করছেন এরকম সকল বিচারক, আইনজীবী এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ‘প্রধান বিচারপতি পুরস্কার’ প্রবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে এই পুরস্কার ভূমিকা রাখবে বলে সবাই আশা করছেন।</p>




Discussion about this post